শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চট্টগ্রামে ট্রেন ভ্রমণে সময় কমছে

প্রকাশিতঃ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬  

আন্তঃনগর, মেইলসহ পূর্ব রেলের অধীন ৫৪টি ট্রেনের আসা-যাওয়ার সময় গড়ে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত কমছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ভৈরব বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার ডাবল লাইন হওয়ায় ভ্রমণের সময় কমে আসছে বলে জানিয়েছে রেল কর্মকর্তারা।

তাই আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে এ পথ ধরে চলাচলকারী ২৭টি আন্তঃনগর, ২৪টি মেইল-এক্সপ্রেস-কমিউটার এবং তিনটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের আসা-যাওয়ার নতুন সময় (রানিং টাইম) কার্যকর হচ্ছে।

পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ মকবুল আহাম্মদ সোনারবাংলা৭১ ডটকমকে বলেন, টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার পর্যন্ত রেললাইন ডাবল লাইন হওয়ায় কোনো ট্রেনকে আর ক্রসিংয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

“এতে আন্তঃনগর, মেইলসহ সকল ধরনের ট্রেনের রানিং টাইম আগের চেয়ে কমে যাবে। ৭ জানুয়ারি থেকে নতুন শিডিউল অনুযায়ী ট্রেনগুলো যাওয়া-আসা করবে।’’

এতে ট্রেনে ভ্রমণে যাত্রীদের উৎসাহ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন পূর্ব রেলের জিএম।

পূর্ব রেল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে ৩২০ কিলোমিটারের মধ্যে টঙ্গী-ভৈরব বাজারের ৬৫ কিলোমিটারসহ মোট ২৪৯ কিলোমিটার ডাবল লাইন হল।

এর বাইরে লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত প্রায় ৭১ কিলোমিটার লাইন বর্তমানে সিঙ্গেল আছে, যা ডাবল করার জন্য ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রেল কর্মকর্তা মকবুল বলেন, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং মূল্যায়নের কাজ চলছে। ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ ডাবল লাইন তৈরি শেষ হবে।

৩২০ কিলোমিটার লাইন পুরো ডাবল হলে এ পথের ট্রেনের চলাচলের সময় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

রেলের তথ্যানুসারে, আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে চারটি আন্ত:নগরসহ বেশকয়েকটি ট্রেন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া মহানগর প্রভাতীর নাম পাল্টে ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ রাখা হয়েছে। এটিও নতুন সময় ধরে চলাচল করবে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা জানান, নতুন করে ডাবল লাইন যুক্ত হওয়ায় আগামী ৭ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকায় আগের চেয়ে ২০ মিনিট আগে পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একই ট্রেন চট্টগ্রাম পৌঁছাবে ৩৫ মিনিট আগে।

এছাড়া মহানগর গোধূলীর সময় কমবে ১৫ মিনিট, তুর্ণা নিশীথার সময় কমবে ঢাকার পথে ১০ মিনিট ও চট্টগ্রামের পথে ২০ মিনিট।

মহানগর এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছাড়া মহানগর প্রভাতী, মহানগর এক্সপ্রেস, ঢাকামুখী চট্টগ্রাম মেইল, চট্টগ্রামমুখী চট্টগ্রাম মেইল, সিলেটগামী উদয়ন, পাহাড়িকাসহ বিভিন্ন ট্রেনের সময়ও কমছে।

যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় কমছে ঢাকা থেকে ছাড়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের, সময় বাঁচবে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।

এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী তিনটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের মধ্যে ঢাকামুখী ট্রেনটির সময় কমবে পাঁচ ঘণ্টা ১০ মিনিট, চট্টগ্রামমুখী ট্রেনের কমবে চার ঘণ্টার মতো। ঢাকামুখী অন্য কন্টেইনার ট্রেনটি আগের চেয়ে ছয় ঘণ্টা ২৫ মিনিট আগে পৌঁছাবে।

জিএম মকবুল বলেন, “আরও কম সময়ে কন্টেইনার ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানো গেলে মালামাল পরিবহনের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি রেলের আয়ও বাড়বে।”