শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রশ্ন ফাঁসের আশায় বসে থাকলে সর্বনাশ

প্রকাশিতঃ ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃএসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের সতর্ক এবং পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের পিছনে না ছুটে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশবাসীর প্রতি এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, কোনো ছেলে-মেয়ে-পরীক্ষার্থী আপনারা প্রশ্ন পাবেন বা ফাঁস হবে, নকল করতে পারবেন- এই আশায় বসে থাকবেন না, তাহলে বিপদে পড়বেন, সবর্নাশ হয়ে যাবে।

আর প্রশ্নপত্র ফাঁস বা বিভ্রান্তি সষ্টিকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা কোচিং সেন্টার কিংবা ফটোকপি করে বিলি করেন, দয়া করে এখানে হাত দিবেন না, আমাদের যথেষ্ট শক্তি এবং জনবল গড়ে উঠেছে, যিনি হাত দেবেন, হাত পুড়ে বা ভেঙে যাবে।’

প্রতীকী অর্থে একথা বলছি- জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি এখান থেকে রেহাই পাবেন না। আমরা যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রশ্ন ফাঁস করা, প্রশ্নে ফাঁসের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, কোচিং সেন্টারগুলোর ব্যবসা রমরমা করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি করা- এইগুলোর সুযোগ আমরা একেবারে উঠিয়ে নিয়ে এসেছি। সবাই এখন পুলিশ বা কোনো বাহিনীর নজরদারিতে আছেন- বলেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, মিথ্যার পিছুনে ছুটো না, তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করব আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিভ্রান্ত হবে না, অভিভাবক-শিক্ষকরা সেভাবে প্রস্তুত করুন।

বিজিপ্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানে কারও পক্ষে একটি প্রশ্নও মুখস্ত করা সম্ভব না। অটোমেটিক সেখান থেকে সিলগালা হয়ে প্রশ্ন চলে যাবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রশ্ন নিয়ে যাবে।

প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে আধুনিকায়ন তথা আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানোর মতো অতি আধুনিক পদ্ধতি এই মুহূর্তে প্রয়োগ করা সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে এই কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

কিছু শিক্ষক নামধারী কুশিক্ষক পরীক্ষা শুরুর আগে নিজ নিজ ছাত্রদের এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস করে দিতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের অনেককে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসেছি। এজন্য ‘টপ-২০’ প্রতিষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

ফেসবুকে যাতে কেউ প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বিটিআরসি তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে দেবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষাসচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।