শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঢেকে জয় আনলেন বোলাররা

প্রকাশিতঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  

ঢাকা: দেশের মাটিতে খেলা। হোক টি-টোয়েন্টি। তাই বলে আমিরাতের কাছে এই বাংলাদেশ ভয়ে-ভয়ে খেলবে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও হয়েছে কিন্তু তাই। ব্যাটসম্যানদের তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে টেনেটুনে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৩। অল্প রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে মান বাঁচানো জয় এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজ-মাশরাফি-আল আমিনরা। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৪৫ রানে হেরে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য এবং মিথুন। মিথুন দুইবার জীবন পেয়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে কাটা পড়েন। এর আগে সৌম্য সরকার উঁকি দিয়ে মিলিয়ে যান। ১৩ বলে করতে পারেন ২১। এক পর্যায়ে ১২ ওভারে ৮১ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে আরেকবার ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ১৩ করে ফেরেন অলরাউন্ডার। শেষ দিকের অন্যতম ভরসা মাশরাফিও কিছু করতে পারেননি। এসেই ফেরেন খালি হাতে। এরপর রিয়াদ (৩৬) ঝেড়েকেটে দলীয় স্কোর ১৩৩ এ নিয়ে যান।

ফিল্ডিংয়ে নেমে আল-আমিন প্রথম আঘাতটা করেন। মোহাম্মদ কালিমকে মাশরাফির ক্যাচ বানান তিনি। কিন্তু আসল কাজটা করেন মুস্তাফিজ। অষ্টম ওভারে পরপর দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তিনিই। এর আগে পাখির মতো উড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েও উইকেটের দেখা পাননি কাটার বালক। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে রোহান মুস্তাফা তার অফকাটারে ভড়কে যেয়ে সামনে ক্যাচ তুলে দেন। মুস্তাফিজ অনেকটা ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করলেও বলকে মাটি থেকে দূরে রাখতে পারেননি। চার ওভারে তিনি রান দিয়েছেন মাত্র ১২। উইকেট দুটি।

মাশরাফিও আজ দারুণ বল করেছেন। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। সাকিবও নিয়েছেন দুই উইকেট। ৩.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন ২০। আল-আমিনকে দুই ওভার করিয়ে বসিয়ে রাখেন মাশরাফি। উদ্দেশ্যে পরিষ্কার, যদি শেষ দিকে দরকার হয়। পরে অবশ্য তাকে ডাকার আর প্রয়োজন পড়েনি। ওই দুই ওভারে ৮ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি। তাসকিন ৩ ওভারে ২৪ দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। রিয়াদ ব্যাট হাতে উদ্ধার করার পর বল হাতে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। এক পর্যায়ে ৭১ রান তুলতে নয় উইকেট নাই হয়ে যায় আমিরাতের। শেষ উইকেটে আহমেদ রেজা আর মোহাম্মদ নাভিদ দুই ওভার টিকলেও ৫১ রানের হার ঠেকাতে পারেননি।
mustafi_103627