বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ভ্যাট ই-পেমেন্টে গ্রাহক সুরক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ

প্রকাশিতঃ ০৩ মার্চ, ২০১৬  

ঢাকা : আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের ই-পেমেন্ট কার্যক্রম নিরাপদ ও সাইভার ক্রাইম মুক্ত করতে সব ব্যাংকের আইটি বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে কোয়ালিশন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

বুধবার রাজধানীতে এনবিআর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলমের এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করতে তিনি এ নির্দেশ দেয় হয়। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে এম আসলাম আলম বলেন, ‘যেকোনো কিছু নতুন শুরু করতে গেলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এনবিআর ভ্যাট আদায়ে যে পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে, এতেও সমস্যা হতে পারে। সফটওয়ারের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা এটি পরিচালনা করবেন তাদের এ বিষয় ধারণা না থাকলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপি সাইভার সিকিউরিটির যে সমস্যা হচ্ছে তার কবলে এ পদ্ধতিও পড়তে পারে। তাই সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় রাজস্ব বোর্ডকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর জন্য একটি কোয়ালিশন কমিটি গঠন করা দরকার। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর প্রধান থাকবেন। অন্যান্য ব্যাংকের আইট বিভাগের কর্মকতারাও এ কমিটিতে থাকবেন। যাদের কাজ হবে গ্রাহক সুরক্ষা দেয়া। ভ্যাট পেমেন্টের সঠিক পদ্ধতির জ্ঞান রাখা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর ড. আতিউর রহমান সচিবের বক্তব্য সমর্থন করে ডেপটি গভর্নর নাজনীন সুলতাকে প্রধান করে জরুরি ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এ কমিটিতে সরকারি হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।

আতিউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মূসক ব্যবস্থাপনার প্রায় সব কাজ ম্যানুয়ালি সম্পাদিত হয়। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তি এবং সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি জটিলতাও রয়েছে। কিন্তু নতুন এই ব্যবস্থায় করদাতাগণ নিজেরাই তাদের অধিকাংশ কাজ সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বিধায় হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি ভ্যাট পরিশোধ ব্যবস্থাও সহজ ও স্বচ্ছ হবে।’

আগামী জুলাই থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর হচ্ছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘এ আইন কার্যকর করার জন্য পুরো প্রক্রিয়াকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে প্রথম মূসক দাখিলপত্র অনলাইন সিস্টেমে গ্রহণ এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অটোমেশন প্রক্রিয়া তথা অনলাইন নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের মূসক ব্যবস্থার যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করা হবে। বর্তমানে মূসক ব্যবস্থার প্রায় সব কাজ সনাতন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালু হলে ভ্যাট নিবন্ধন, ভ্যাটের ফরম পূরণ ও জমা দান, নির্ধারিত ভ্যাট পরিশোধ সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে।’

ইন্টারনেট ভিত্তিক নতুন এ পদ্ধতির ব্যবহার বিষয়ে ‘ভ্যাট ই-পেমেন্ট ইন্টিগ্রেশন উইথ আইবিএএস (ইন্টিগ্রেটেড বাজেটিং অ্যান্ড এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের) শীর্ষক সেমিনারে আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, কন্ট্রোলার জেনারেল অফ একাউন্টস মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আইআরডির সেক্রেটারি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গির হোসনে।ঢাকা : আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের ই-পেমেন্ট কার্যক্রম নিরাপদ ও সাইভার ক্রাইম মুক্ত করতে সব ব্যাংকের আইটি বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে কোয়ালিশন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

বুধবার রাজধানীতে এনবিআর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলমের এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করতে তিনি এ নির্দেশ দেয় হয়। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে এম আসলাম আলম বলেন, ‘যেকোনো কিছু নতুন শুরু করতে গেলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এনবিআর ভ্যাট আদায়ে যে পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে, এতেও সমস্যা হতে পারে। সফটওয়ারের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা এটি পরিচালনা করবেন তাদের এ বিষয় ধারণা না থাকলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপি সাইভার সিকিউরিটির যে সমস্যা হচ্ছে তার কবলে এ পদ্ধতিও পড়তে পারে। তাই সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় রাজস্ব বোর্ডকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর জন্য একটি কোয়ালিশন কমিটি গঠন করা দরকার। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর প্রধান থাকবেন। অন্যান্য ব্যাংকের আইট বিভাগের কর্মকতারাও এ কমিটিতে থাকবেন। যাদের কাজ হবে গ্রাহক সুরক্ষা দেয়া। ভ্যাট পেমেন্টের সঠিক পদ্ধতির জ্ঞান রাখা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর ড. আতিউর রহমান সচিবের বক্তব্য সমর্থন করে ডেপটি গভর্নর নাজনীন সুলতাকে প্রধান করে জরুরি ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এ কমিটিতে সরকারি হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।

আতিউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মূসক ব্যবস্থাপনার প্রায় সব কাজ ম্যানুয়ালি সম্পাদিত হয়। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তি এবং সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি জটিলতাও রয়েছে। কিন্তু নতুন এই ব্যবস্থায় করদাতাগণ নিজেরাই তাদের অধিকাংশ কাজ সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বিধায় হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি ভ্যাট পরিশোধ ব্যবস্থাও সহজ ও স্বচ্ছ হবে।’

আগামী জুলাই থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর হচ্ছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘এ আইন কার্যকর করার জন্য পুরো প্রক্রিয়াকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে প্রথম মূসক দাখিলপত্র অনলাইন সিস্টেমে গ্রহণ এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অটোমেশন প্রক্রিয়া তথা অনলাইন নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের মূসক ব্যবস্থার যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন করা হবে। বর্তমানে মূসক ব্যবস্থার প্রায় সব কাজ সনাতন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালু হলে ভ্যাট নিবন্ধন, ভ্যাটের ফরম পূরণ ও জমা দান, নির্ধারিত ভ্যাট পরিশোধ সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে।’

ইন্টারনেট ভিত্তিক নতুন এ পদ্ধতির ব্যবহার বিষয়ে ‘ভ্যাট ই-পেমেন্ট ইন্টিগ্রেশন উইথ আইবিএএস (ইন্টিগ্রেটেড বাজেটিং অ্যান্ড এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের) শীর্ষক সেমিনারে আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, কন্ট্রোলার জেনারেল অফ একাউন্টস মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আইআরডির সেক্রেটারি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গির হোসনে।2015_11_24_15_52_24_Y5DDyCxDmhavB94RXaQMZ6Sj2uJJdP_original