বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মেয়েকে তুলে নিতে বাধা দেয়ায় বাবাকে খুন

প্রকাশিতঃ ১৬ মার্চ, ২০১৬  

নারায়ণগঞ্জ: এক্কেবারে ফিল্মি স্টাইল। মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ঢাকা থেকে মাইক্রো নিয়ে এসে ভাগিয়ে নিয়ে যাবে প্রেমিক। সঙ্গে এসেছে বন্ধুরাও। মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নেয়ার সময় বাধা দিতে গেলেই ফিল্মে আসে ট্রাজেডি।

বাবা বাধা দেয়ার সময় কুপিয়ে হত্যাই করে প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার ভোরের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিন্দ্র অধিকারী (৫০) লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার কৃজ্ঞদিশা এলাকার মৃত উতিন্দ্র অধিকারীর ছেলে। তিনি একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্বপালনের পাশাপাশি রিকশাও চালাতেন।

ঘটনায় আটকৃতরা হলেন- নজরুল ইসলাম (৩৫), মনির হোসেন (৩৪), জাহিদ (২০), সুশান্ত (১৯), জুয়েল (২৫), বাবু (২১) ও হৃদয়সহ (২৬) ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। প্রেমিকসহ বাকিরা পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ভুইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এনামুল হকের বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন মনিন্দ্র অধিকারী। তার তিন মেয়ের মধ্যে মেজো মেয়ে ঝর্ণা অধিকারীর (১৭) সঙ্গে ঢাকার তুহিন নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ ব্যাপারটা পরিবারের লোকজন জানতেন না। ঝর্ণার বিয়ে ঠিক করে পাগলা এলাকার এক ছেলের সঙ্গে।

ঝর্ণা এ বিয়েতে রাজি না হয়ে তার প্রেমিক তুহিনকে বিষয়টি জানায়। পরে দুটি মাইক্রো নিয়ে তুহিনসহ তার বন্ধুরা মঙ্গলবার গভীর রাতে রগুনাথপুরের বাড়ি থেকে ঝর্ণাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবাসহ পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্ণার বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। মনিন্দ্র অধিকারীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্ত্রীসহ আশে পাশের লোকজন ৭ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

তিনি আরো জানান, নিহত মনিন্দ্র অধিকারীর লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ সময় দুটি মাইক্রোবাসও আটক করা হয়।2015_07_08_06_31_08_BZ6ffhpAJeLFDWI3eLbAhsDg0E2tL1_original