দেগুইতোকে আদালতে তলব
প্রকাশিতঃ ১৮ মার্চ, ২০১৬
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাটে সম্পৃক্ততার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ফিলিপাইনের রিজাল কমাশিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার ম্যানেজার মাইয়া সানতোস দেগুইতোকে ডেকে পাঠিয়েছে দেশটির আদালত। এ ঘটনায় জড়িত আরো চারজনকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) তদন্ত করে দেগুইতোসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। এপ্রিলের ১২ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোপাট হয়। লোপাটের এ অর্থের ৮১ মিলিয়ন পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে জুপিটার স্ট্রিট ব্রাঞ্চের চার অ্যাকাউন্টে।
বাকি ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকার একটি ব্যাংকে। প্রাপকের নামের বানান ভুল থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তারা তা আটকে দেন। এতে ওই টাকা রক্ষা পায়।
দেগুইতো ছাড়াও মাইকেল ফ্রানসিসকো ক্রজ, ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলপ্রেড সানকোস ভারগারা এবং এনরিকো তেওদোরো ভাসকুয়েজকে অভিযুক্ত করেছে এএমএলসি। তবে ক্রুজ, লাগ্রোসাস, ভারগারা এবং ভাসকুয়েজ- এগুলো তাদের ছদ্মনাম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার এক আদেশে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আদালতে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও অ্যাফিডেভিড জমা দিতে হবে। আদালতের সহকারী প্রসিকিউটর গিলমারে ফি পাকামারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নির্দেশ অমান্য করলে অভিযুক্তরা যুক্তি উপস্থাপনের যোগ্যতা হারাবেন। রিজাল ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার দেগুইতো এবং অপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।