মডেলিংয়ের নামে সৈকতে চলছে অশ্লীলতা
প্রকাশিতঃ ২৩ মার্চ, ২০১৬
জেলাপ্রতিনিধি: কক্সবাজার কক্সবাজার ও উখিয়ার ইনানী সৈকতজুড়ে চলছে মডেলিংয়ের নামে অবাধ শরীর প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা। নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিউজিক ভিডিওর নামে উঠতি বয়সের তরুণীদের এনে অবাধে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে যাচ্ছে প্রতিদিন। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কক্সবাজার ও ইনানী সৈকতের।
প্রকাশ্যে এসব দৃশ্য ধারণের ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটকরাও প্রতিনিয়ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আর পর্যটন এলাকায় শুটিং করার কারণে স্থানীয় প্রশাসনও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন অশ্লীল ও নিম্নমানের মিউজিক ভিডিওতে ছেয়ে গেছে বাজার। অখ্যাত বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তথাকথিত মডেলদের নিয়ে এসব ভিডিও নির্মাণ করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। নামসর্বস্ব পরিচালকদের দিয়েই মূলত নির্মাণ করা হয় এসব মিউজিক ভিডিও। আর বাজার ধরার জন্য অশ্লীল গানের পাশাপাশি জুড়ে দেয়া হচ্ছে জনপ্রিয় কিছু গান।
বর্তমানে ঢাকা বা ঢাকার বাইরে অন্তত শতাধিক প্রতিষ্ঠান এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। কোনো ধরনের মাননিয়ন্ত্রণ ছাড়াই এসব ভিডিও নির্মাণ হওয়ায় প্রভাব পড়ছে দেশীয় সংস্কৃতিতেও। শুধুমাত্র দুই থেকে তিনজন বন্ধু মিলে একটি ক্যামরা দিয়ে মিউজিক ভিডিওর নামে অশ্লীল কাজ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মূলত তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রার মেয়েদের মডেলিংয়ের নামে কক্সবাজার এনে এসব মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে থাকে।
গত সোমবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে একটি অশ্লীল গানে যৌনতা প্রদর্শন করছিল এক মডেল। কাছে গিয়ে এ প্রতিবেদক ভিডিওম্যানের কাছে তার ও মডেলের নাম জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মডেলিং ছাড়াও যাত্রার এসব মেয়েদের দিয়ে কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা চলে। মডেলিং করার কারণে হোটেলগুলোতে তাদের চাহিদাও বেশি। এ কারণে কক্সবাজার ও ইনানী সৈকতে বেড়েছে মডেলিং, চলছে বাধাহীন অশ্লীলতাও।