এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে নারী হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি গ্রেফতার
প্রকাশিতঃ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি: বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী নামের নারীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ঘাতক স্বামী মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান গাজীপুরের কাবাসিয়া এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান তারা স্বামী স্ত্রী।এটি তার তৃতীয় বিয়ে। আর লাবণীরও আগে বিয়ে হয়েছিল।
আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ উকিলবাড়ি সড়কের পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার মীরপুর ১ নম্বর দারুস সালাম এলাকার প্রিন্সিপ্যাল আবুল কালাম রোডের সরকারি কোয়ার্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অভিযানে সহায়তা করেন ঢাকা (উত্তর) পিবিআই সদস্যরা।
তিনি জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বরিশাল নদী বন্দরে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চের কেবিনবয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ওই কেবিনে গিয়ে দরজা খোলা অবস্থায় অজ্ঞাত নারীর লাশ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক নৌ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
খবর পেয়ে নৌপুলিশক লাম উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আলামতের ভিত্তিতে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
পুলিশ সুপার আরো জানান, লঞ্চের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই নারীর সঙ্গে লঞ্চের কেবিনে আসা ব্যক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। একপর্যায়ে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে লাবণীকে হত্যা করেন মনিরুজ্জামান। পরে লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছালে তিনি কৌশলে পালিয়ে বাসে করে ঢাকা চলে যান।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার মনিরুজ্জামানকে তাদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদনও করা হতে পারে।