মঙ্গলবার ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রিসোর্টে নারীসহ মামুনুল হক, আ’লীগ অফিস ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিতঃ ০৪ এপ্রিল, ২০২১  

জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নিয়েছেন সংগঠনটির কর্মীরা। ওই রিসোর্ট থেকে তাকে ছাড়িয়ে শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যান হেফাজত নেতাকর্মীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজতের কর্মীরা। তাদের বাধা দিতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নারীসহ মামুনুলের সেখানে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করেন। পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। মাওলানা মামুনুল হক দাবি করেছেন, সঙ্গে থাকা নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁকে নিয়ে অবকাশ যাপন করতে মামুনুল ওই রিসোর্টে যান। সেখানে কিছু লোকজন তাঁকে নাজেহাল করেছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নারীসহ মামুনুলের সেখানে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করেন। পুলিশ তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। মাওলানা মামুনুল হক দাবি করেছেন, সঙ্গে থাকা নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁকে নিয়ে অবকাশ যাপন করতে মামুনুল ওই রিসোর্টে যান। সেখানে কিছু লোকজন তাঁকে নাজেহাল করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে রয়েল রিসোর্টের পঞ্চম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাঁকে অবরুদ্ধ করা হয়। বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে মামুনুলকে ঘিরে রেখে কয়েকজন মিলে এক নারীর পরিচয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়। এ সময় মামুনুল সঙ্গে থাকা নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী সন্ধ্যা ৬টার দিকে রয়েল রিসোর্ট ঘিরে ফেলে। তাঁরা সেখানে হামলা চালিয়ে মামুনুলকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে প্রথম দফায় ব্যর্থ হন। পরে আবার হামলা চালিয়ে মামুনুলকে তাঁদের কাছে নেন।

প্রথমে তারা রিসোর্টে পৌঁছালে সেখানে গেট বন্ধ করে দেয় একদল লোক ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এ সময়ে তারা মামুনুল হককে মুক্তি দিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গেট না খুললে তারা ওই রিসোর্টের গেট ভেঙে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করেন।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ অবস্থান করছেন—এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।

এদিকে রাত ৭টায় শত শত লোকজন রিসোর্টের সামনে জড়ো হন। সেখানে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ওই সময়ে মামুনুল হক ও তার স্ত্রী বেরিয়ে আসেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন রিসোর্ট ভাঙচুর করেন। লোকজন মামুনুল হককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার আমিনপুর ঈদগাহ ময়দানে যান। সেখানে মামুনুল হক বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকতে বলেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে বাড়ি ফিরতে বলেন। তিনি ওই এলাকা ছেড়ে গেলেও স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।