মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

​ নো মাস্ক, নো সার্ভিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ ১৪ জানুয়ারি, ২০২২  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নো মাস্ক, নো সার্ভিস ’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

একই অনুষ্ঠানে বেদখল হয়ে থাকা ১৮ একর জায়গা উদ্ধার করে সেখানে ডিসি পার্ক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

নো মাস্ক, নো সার্ভিস ’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), জেলার নয় উপজেলার নির্বাহী অফিসারগনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, সরকার করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিশ্চিতের পর এবার বোস্টার টিকার ব্যবস্থা করেছেন। টিকা নিলেই করোনা থেকে মুক্ত থাকা যাবে এমন নিশ্চয়তা এখনো দেয়া হয়নি। তবে মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব। তাই নিজে মাস্ক ব্যবহার করে পরিবেশ নিরাপদ রাখতে হবে। বক্তারা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান।

সভায় তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮০জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই নিরাপদ থাকতে এবং সবাইকে নিরাপদ রাখতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

কর্মশালার আগে তিনি সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ এলাকায় ডিসি পার্কের উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, এলাকার বেদখল হয়ে থাকা ১৮একর সরকারি জায়গা উদ্ধার করে এই পার্ক নির্মান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পার্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির ৭ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। বেছে বেছে এমন গাছ লাগানো হয়েছে যাতে রাতে পাখিরা বসতে পারে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য উপহার।

তিনি বলেন, জায়গাটি তিতাসের পাড়ে অবস্থিত। জেলায় সৌন্দর্য উপভোগ করার কোনো জায়গা নেই। মানুষের বিনোদনের জায়গা দরকার।

পর্যায়ক্রমে সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় জায়গাটি বিকশিত হবে। তিনি বলেণ, এই দুটি কাজ করে আপনাদের কাছে সমর্পণ করে যাচ্ছি। আশা করছি আপনাদের তত্ত¡াবধানে এটি সম্পূর্ণরূপে মানুষের জন্য ইতিবাচক একটি ফলাফল বয়ে আনবে।